বিশেষ প্রতিবেদক :
ঝাউতলা নারী কল্যাণ সমবায় সমিতির নাম ব্যবহার করে  অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল ১১/৮/২০১৮ ইং তারিখে উক্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা বাদী হয়ে বহিস্কৃত সভাপতি ফাতেমা আকতার লিপি এবং তার সঙ্গীদের চিহ্নিত করে থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়,বহিস্কৃত সভাপতি ফাতেমা আকতার লিপি তার উদ্দ্যেশ্যকে হাসিল করার জন্য অপপ্রচার ও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। নারী কল্যাণ সমবায় সমিতি সমবায় অধিদপ্তরকৃত একটি বৈধ সংগঠন।উক্ত সমিতি থেকে ফাতেমা আক্তার লিপি যিনি অপপ্রচার ও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাকে সমিতির সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে বহিস্কার করা হয়েছিল ক্ষমতা অপব্যবহার, স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে সমিতিতে অনিয়ম ও দূর্নিতিতে জড়িয়ে পড়ার কারণে।উক্ত বহিস্কৃত সভাপতি বৈধ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে তার অপকর্ম। ঝাউতলা নারী কল্যাণ সমবায় সমিতির অর্থাৎ বৈধ সংগঠনের একই নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সংবাদ পরিবেশন,চাদাঁবাজিসহ ঘৃণ্যতম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বহিস্কৃত সভাপতি। সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে,ও এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী ,কক্সবাজার শহরে অবস্থিত নারী কল্যাণ সমিতিতে ফাতেমা আকতার লিপির নেতৃত্বে তার ভাড়াটে সঙ্গীরা ১১/৮/২০১৮ ইং তারিখে বিকাল ৫টার সময় অফিসগৃহের চালের উপর আগুন ধরিয়ে দেয়। উক্ত আগুনের লেলিহান শিখায় অফিসগৃহের চাউনি অনেকাংশে পুড়ে যায়।পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন যাইয়া উক্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে,এবং এলাকাবাসীর অনেকেই তা পর্যবক্ষেণ করে। এ ব্যাপারে উক্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন,ঝাউতলা নারী কল্যাণ সমিতি সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধনকৃত একটি সংগঠন। কিন্তু বহিস্কৃত সভাপতি ও তার ভাড়াটে সঙ্গীরা তাদের উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা ধরণের আপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি সমিতির সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ,অফিসগৃহে আগুন তাদের জীবনযাত্রাকে চিন্তিত করে তুলছে এবং তারা চরম আতংকের মধ্যে রয়েছেন। এ ব্যাপারে সদস্যরা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপসহ সুষ্ঠু তদন্ত করে, কারা সংগঠনের বৈধ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আর কারা নামধারী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৃত ঘঠনা উদঘাটন করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে সমবায় অদিধপ্তরকে অবগত করা হলেও বহিস্কৃত সভাপতির বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। তিনি সমবায় অদিধপ্তরের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।